New Freelance Job Site for Low Competition High Chance Finding a new freelance job site with low competition and a high chance of landing gigs can be challenging, as the landscape is constantly evolving. However, here are some platforms that were gaining popularity in the freelance world as of my last knowledge update in September 2021. Keep in mind that the competitive landscape may have changed since then, so it's essential to do your research and stay updated on the latest trends in the freelance job market for 2024. Solid Gigs: Solid Gigs is a subscription-based service that curates freelance job listings and sends them directly to your inbox. It's designed to save you time by providing quality leads, potentially reducing competition compared to open job boards. We Work Remotely: While not entirely new, this platform focuses on remote work opportunities. Competition may be lower for specialized skills in industries such as tech, design, and marketing. Craigslist ...
চন্দ্রযান -২
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে আমরা সেই সন্ধিক্ষনে পৌঁছে গেলাম। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে এক নতুন পরিচয় এনে দিল। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় , মহাকাশ গবেষণায় ভারত আজ সারা বিশ্বের দেশগুলির কাছে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আজ ভারতের অবস্থান সারা বিশ্বে চতুর্থ। শুধু তাই নয় 'ইসরো 'এর নেতৃত্বে ভারত এর আগে যে চন্দ্র অভিযান করেছিল অর্থাৎ চন্দ্রযান -১ অভিযান যে সাফল্য এনে দিয়েছিল- তা অবশ্যই নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল- বিশেষত চাঁদ সম্পর্কে। চন্দ্রযান -১ জানিয়েছিল চাঁদে বরফের অস্তিত্ব রয়েছে।যাইহোক এবার আসা যাক চন্দ্রযান -২ সম্পর্কে।
প্রস্তুতিপর্ব :
দিনটা ছিল সোমবার। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার। সারা ভারতবর্ষ শুধু কেন - সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে এই স্পেস সেন্টারের দিকে। কি হয় ! কি হয় ! মাত্র এক সপ্তাহ আগে সামান্য যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যাত্রা বন্ধ করা হয়েছিল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকারীগণ কল্পনা চাওলাকে ভোলেননি। সামান্য খুঁত রাখতে চাননি তাঁরা। তাই এক সপ্তাহ পিছিয়ে আজ অভিযানের প্রস্তুতি।
২২ শে জুলাই। সকলের চোখ টেলিভিশনের পর্দায়। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার নক্ষত্রদের ভিড়ে ঠাসা। সকলের ব্যস্ততা আর উৎকণ্ঠা চোখে পড়ার মতো। এ যেন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ী পাঠানোর তোড়জোড়। আবেগ , আনন্দ আর উত্তেজনা মিলেমিশে একাকার। কাউন্টডাউন শুরু। বারে বারে সময় দেখা। রকেটের উৎক্ষেপণের যান্ত্রিক আওয়াজ সহ প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হওয়া চাই। অবশেষে সেই সন্দিক্ষন উপস্থিত। বিকাল ৩টা বেজে ১২ মিনিট। যাত্রা শুরু। সারা আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠলো জয়োধ্বনিতে। ১৩০ কোটি ভারত বর্ষের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু হল।
অভিযানের নেপথ্যে কারণ :
অজানাকে জানার ,অচেনাকে চেনার আর অদেখাকে দেখার মধ্যে যে আগ্রহ রয়েছে তা মানুষের সহজাত অভ্যাসের মধ্যে পড়ে। আমাদের এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য হিসাবে টিকিয়ে রাখতে হলে জল , জ্বালানী ,খাদ্য সহ অণ্যান্য উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমানের যোগান রীতিমতো দরকার। আর এছাড়াও আমরা কথা থেকে এলাম , আর কোন গ্রহ বা উপগ্রহে আমাদের মতো প্রাণীদের সন্ধান মেলে কি না , আমরা সেখানে বাস করতে পারবো কি না - এইরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের দরকার গবেষণা ও অভিযান।
গুরুত্ব :
চন্দ্রযান -১ চাঁদে জলের সন্ধান দেওয়ার পর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান -২ বিশেষ ভূমিকা নেবে। চন্দ্রযান -২ তে বিশেষ ধরণের ল্যান্ডার ও রোভার ব্যবহার করা হয়েছে। চন্দ্রযান -২ নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। যেখানে এখনও কোন দেশ ওই অংশে কোন যান পাঠায়নি।
কোন কোন প্রধান অংশ নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান -২ ?
এবারের চন্দ্র অভিযানে আলাদা আলাদা দায়িত্ব পালন করবার জন্য পৃথিবী থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান -২। সেগুলি হল অরবিটার ,বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার।
ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের ভূমিকা ঠিক কি কি ?
প্রথমে আসা যাক ল্যান্ডারের কথায়। চন্দ্রযান-২ এর জন্য ব্যবহৃত ল্যান্ডারটি একটি বিশেষ ধরণের ল্যান্ডার। এর নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের জনক তথা ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিক্রম সারভাইকারের নাম অনুসারে। এই বিক্রম লান্ডারটি এর সঙ্গী প্রজ্ঞান রোভারকে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করাবে -কোনরকম সামান্য ঝাঁকুনি ছাড়াই। যেটাকে বলা হচ্ছে সফ্ট ল্যান্ডিং। শুধু তাই নয় এই বিক্রম ল্যান্ডার নিজেও নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা- নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। আর প্রজ্ঞান রোভার ? ২৭ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটিতে রয়েছে ছয়টি চাকা। যেগুলির দ্বারা সে স্থান পরিবর্তন করতে পারবে। আর প্রজ্ঞানে রয়েছে দুইটি শক্তিশালী যন্ত্র। যেগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠের আবহাওয়ার সম্পর্কে তথ্য পরিবেশন করবে। তথ্য পাঠাবে বিক্রমের কাছে।
চন্দ্রযান -২ থেকে আমাদের কি কি লাভ হতে পারে ?
চন্দ্রযান -২ এর বিভিন্ন যন্ত্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে যেমন জানতে পারবো , তেমনি জানতে পারবো চন্দ্রপৃষ্ঠের কম্পন সম্পর্কে , জানতে পারবো জলীয় বরফের উপস্থিতি সম্পর্কে। আর যদি এই মিশনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয় , তবে আমরা খোঁজ পাবো হিলিয়াম থ্রি -এর। যার মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষ কেন সারা পৃথিবীর জ্বালানী সংকট মিটে যেতে পারে। এছাড়া চন্দ্র পৃষ্ঠে উপনিবেশ করা যায় কিনা তার একটা স্পষ্ট ধারণা দেবে এই মিশন।
এই মহাকাশ যানটি তৈরি ও উৎক্ষেপণে খরচ কত ?
এই মহাকাশযানটি তৈরী ও উৎক্ষেপণে খরচ ৮৫১ কোটি টাকা।
মহাকাশটির ওজন কত ?
চন্দ্রযান -২ এর ওজন ২৩৭৯ কিলোগ্রাম। ল্যান্ডার বিক্রমের ওজন ১৪৭১ কিলোগ্ৰাম যার মধ্যে রোভার প্রজ্ঞানের ২৭ কেজি ধরা রয়েছে।
ফিরে দেখা চন্দ্র অভিযান :
আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগে। ২০০৮ সালের ২২শে অক্টোবর। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহযোগিতায় পি এস এল ভি রকেটের সাহায্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান -১। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদেরকে এক নতুন আকাঙ্ক্ষা এনে দিয়েছিল চন্দ্রযান -১। চাঁদের উত্তর মেরুতে যখন বিশাল ঝাঁকুনি দিয়ে অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান -১ তখন চাঁদের পৃষ্ঠদেশে ছিটকে উঠেছিল প্রচুর পরিমানে ধূলো। আর সেই ধূলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন চাঁদের মাটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম , অ্যালুমিনিয়াম ,সিলিকনের মতো ধাতুর উপস্থিতি। কেবল তাই নয় চন্দ্রযান -১ ই প্রথম খুঁজে পেয়েছিল চাঁদে জলের সন্ধান। সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী মহল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো-কে বিশেষ মর্যাদা দিতে শুরু করেন।
আর আজ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে , ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় যে চন্দ্রযান -২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। কারণ দেশ হিসাবে শুধু চতুর্থই নয় , ভারতবর্ষ হল বিশ্বের প্রথম দেশ যে কি না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রাখতে চলেছে। অপেক্ষা শুধু সময়ের। কবে আসবে ৭ ই সেপ্টেম্বর। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত। যেদিন ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন অর্জন করবে।
প্রস্তুতিপর্ব :
দিনটা ছিল সোমবার। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার। সারা ভারতবর্ষ শুধু কেন - সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে এই স্পেস সেন্টারের দিকে। কি হয় ! কি হয় ! মাত্র এক সপ্তাহ আগে সামান্য যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যাত্রা বন্ধ করা হয়েছিল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকারীগণ কল্পনা চাওলাকে ভোলেননি। সামান্য খুঁত রাখতে চাননি তাঁরা। তাই এক সপ্তাহ পিছিয়ে আজ অভিযানের প্রস্তুতি।
২২ শে জুলাই। সকলের চোখ টেলিভিশনের পর্দায়। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার নক্ষত্রদের ভিড়ে ঠাসা। সকলের ব্যস্ততা আর উৎকণ্ঠা চোখে পড়ার মতো। এ যেন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ী পাঠানোর তোড়জোড়। আবেগ , আনন্দ আর উত্তেজনা মিলেমিশে একাকার। কাউন্টডাউন শুরু। বারে বারে সময় দেখা। রকেটের উৎক্ষেপণের যান্ত্রিক আওয়াজ সহ প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হওয়া চাই। অবশেষে সেই সন্দিক্ষন উপস্থিত। বিকাল ৩টা বেজে ১২ মিনিট। যাত্রা শুরু। সারা আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠলো জয়োধ্বনিতে। ১৩০ কোটি ভারত বর্ষের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু হল।
অভিযানের নেপথ্যে কারণ :
অজানাকে জানার ,অচেনাকে চেনার আর অদেখাকে দেখার মধ্যে যে আগ্রহ রয়েছে তা মানুষের সহজাত অভ্যাসের মধ্যে পড়ে। আমাদের এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য হিসাবে টিকিয়ে রাখতে হলে জল , জ্বালানী ,খাদ্য সহ অণ্যান্য উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমানের যোগান রীতিমতো দরকার। আর এছাড়াও আমরা কথা থেকে এলাম , আর কোন গ্রহ বা উপগ্রহে আমাদের মতো প্রাণীদের সন্ধান মেলে কি না , আমরা সেখানে বাস করতে পারবো কি না - এইরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের দরকার গবেষণা ও অভিযান।
গুরুত্ব :
চন্দ্রযান -১ চাঁদে জলের সন্ধান দেওয়ার পর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান -২ বিশেষ ভূমিকা নেবে। চন্দ্রযান -২ তে বিশেষ ধরণের ল্যান্ডার ও রোভার ব্যবহার করা হয়েছে। চন্দ্রযান -২ নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। যেখানে এখনও কোন দেশ ওই অংশে কোন যান পাঠায়নি।
কোন কোন প্রধান অংশ নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান -২ ?
এবারের চন্দ্র অভিযানে আলাদা আলাদা দায়িত্ব পালন করবার জন্য পৃথিবী থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান -২। সেগুলি হল অরবিটার ,বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার।
ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের ভূমিকা ঠিক কি কি ?
প্রথমে আসা যাক ল্যান্ডারের কথায়। চন্দ্রযান-২ এর জন্য ব্যবহৃত ল্যান্ডারটি একটি বিশেষ ধরণের ল্যান্ডার। এর নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের জনক তথা ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিক্রম সারভাইকারের নাম অনুসারে। এই বিক্রম লান্ডারটি এর সঙ্গী প্রজ্ঞান রোভারকে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করাবে -কোনরকম সামান্য ঝাঁকুনি ছাড়াই। যেটাকে বলা হচ্ছে সফ্ট ল্যান্ডিং। শুধু তাই নয় এই বিক্রম ল্যান্ডার নিজেও নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা- নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। আর প্রজ্ঞান রোভার ? ২৭ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটিতে রয়েছে ছয়টি চাকা। যেগুলির দ্বারা সে স্থান পরিবর্তন করতে পারবে। আর প্রজ্ঞানে রয়েছে দুইটি শক্তিশালী যন্ত্র। যেগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠের আবহাওয়ার সম্পর্কে তথ্য পরিবেশন করবে। তথ্য পাঠাবে বিক্রমের কাছে।
চন্দ্রযান -২ থেকে আমাদের কি কি লাভ হতে পারে ?
চন্দ্রযান -২ এর বিভিন্ন যন্ত্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে যেমন জানতে পারবো , তেমনি জানতে পারবো চন্দ্রপৃষ্ঠের কম্পন সম্পর্কে , জানতে পারবো জলীয় বরফের উপস্থিতি সম্পর্কে। আর যদি এই মিশনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয় , তবে আমরা খোঁজ পাবো হিলিয়াম থ্রি -এর। যার মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষ কেন সারা পৃথিবীর জ্বালানী সংকট মিটে যেতে পারে। এছাড়া চন্দ্র পৃষ্ঠে উপনিবেশ করা যায় কিনা তার একটা স্পষ্ট ধারণা দেবে এই মিশন।
এই মহাকাশ যানটি তৈরি ও উৎক্ষেপণে খরচ কত ?
এই মহাকাশযানটি তৈরী ও উৎক্ষেপণে খরচ ৮৫১ কোটি টাকা।
মহাকাশটির ওজন কত ?
চন্দ্রযান -২ এর ওজন ২৩৭৯ কিলোগ্রাম। ল্যান্ডার বিক্রমের ওজন ১৪৭১ কিলোগ্ৰাম যার মধ্যে রোভার প্রজ্ঞানের ২৭ কেজি ধরা রয়েছে।
ফিরে দেখা চন্দ্র অভিযান :
আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগে। ২০০৮ সালের ২২শে অক্টোবর। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহযোগিতায় পি এস এল ভি রকেটের সাহায্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান -১। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদেরকে এক নতুন আকাঙ্ক্ষা এনে দিয়েছিল চন্দ্রযান -১। চাঁদের উত্তর মেরুতে যখন বিশাল ঝাঁকুনি দিয়ে অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান -১ তখন চাঁদের পৃষ্ঠদেশে ছিটকে উঠেছিল প্রচুর পরিমানে ধূলো। আর সেই ধূলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন চাঁদের মাটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম , অ্যালুমিনিয়াম ,সিলিকনের মতো ধাতুর উপস্থিতি। কেবল তাই নয় চন্দ্রযান -১ ই প্রথম খুঁজে পেয়েছিল চাঁদে জলের সন্ধান। সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী মহল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো-কে বিশেষ মর্যাদা দিতে শুরু করেন।
আর আজ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে , ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় যে চন্দ্রযান -২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। কারণ দেশ হিসাবে শুধু চতুর্থই নয় , ভারতবর্ষ হল বিশ্বের প্রথম দেশ যে কি না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রাখতে চলেছে। অপেক্ষা শুধু সময়ের। কবে আসবে ৭ ই সেপ্টেম্বর। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত। যেদিন ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন অর্জন করবে।
Comments
Post a Comment
Thank you for your comments.