New Freelance Job Site for Low Competition High Chance Finding a new freelance job site with low competition and a high chance of landing gigs can be challenging, as the landscape is constantly evolving. However, here are some platforms that were gaining popularity in the freelance world as of my last knowledge update in September 2021. Keep in mind that the competitive landscape may have changed since then, so it's essential to do your research and stay updated on the latest trends in the freelance job market for 2024. Solid Gigs: Solid Gigs is a subscription-based service that curates freelance job listings and sends them directly to your inbox. It's designed to save you time by providing quality leads, potentially reducing competition compared to open job boards. We Work Remotely: While not entirely new, this platform focuses on remote work opportunities. Competition may be lower for specialized skills in industries such as tech, design, and marketing. Craigslist (speci
হরিদ্বার দর্শনে
উত্তর ভারতের জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র গুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল হরিদ্বার। উত্তরাখণ্ডের এই পবিত্র দেবভূমি হিন্দুদের কাছে কেবল এক ভ্রমণের জায়গাই নয়,এটি যেন এক প্রশান্তির জায়গা। তাই অনেকেই আছেন যারা হরিদ্বার দর্শন করতে একবার নয় আসেন বারে বারে।
হরিদ্বার। উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশের বর্তমান উত্তরাখণ্ডের একটি প্রসিদ্ধ স্থান এই হরিদ্বার। ছোটোখাটো শহর। জনবসতি প্রায় ২.৫ লক্ষ। আয়তন প্রায় ২৩৬০ বর্গ কিমি। এই ছোট্ট এলাকায় সারা বছর বহু মানুষের ভীড় লেগে থাকে। বহু প্রদেশ ও দেশ থেকে এখানে বেড়াতে আসেন।
কলকাতা তথা হাওড়া থেকে কুম্ভ এক্সপ্রেস অথবা দুন এক্সপ্রেস এ এক ট্রেনে পৌঁছে যাবেন হরিদ্বার। কিংবা দিল্লী থেকে দেরাদুন গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে বসলেই আপনি অনায়াসেই পোঁছে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যের ঠিকানায়।
আপনি বাসেও যেতে পারেন দিল্লী থেকে সরাসরি। এছাড়া দিল্লী থেকে চার জনের বা ছয় /সাত জনের জন্য গাড়ি ভাড়ায় পেতে পারেন। যদি আপনার সামর্থ্যে কুলায় তাহলে এরোপ্লেনে ও আপনি যেতে পারেন,দেরাদুন বিমান বন্দরে আপনাকে নামতে হবে।
হরিদ্বারে আপনি সারা বছর যেতে পারেন। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর বহু পর্যটকের ভীড় থাকে। তাই ওই সময় গেলে আনন্দও পাবেন অনেক বেশি।
স্টেশনের অদূরেই রয়েছে হোটেল। একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন আপনার বাজেট অনুযায়ী। এছাড়া স্টেশন থেকে মাত্র মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পাবেন ভারত সেবাশ্রম। আর মা গঙ্গার ঘাটের গা ঘেঁষে রয়েছে প্রচুর হোটেল। অল্প ,মাঝারি ও বাজেট হোটেলের ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে একাধিক ধর্মশালা। অর্থাৎ আপনি আপনার পছন্দসই বাজেট অনুসারে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
খাওয়া দাওয়া :
হরিদ্বারে আপনি নিরামিষ খাবার পাবেন বেশিরভাগ হোটেলে। দেরাদুন চালের ভাত ,সবজি, ডাল,চাটনি, পাঁপড় ,আচার ,পায়েস ও পকোড়া সহ পুরো থালি পাবেন ৫০থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ডাল ,রুটি ,সব্জী,আচার ইত্যাদির থালিও পাবেন অল্প খরচেই। মাছ বা মাংসের হোটেল ও আছে ,তবে তুলনায় কম। সাউথ ইন্ডিয়ান ,চাইনিজ ইত্যাদির ডিশ ও পেয়ে যাবেন নিকটেই। সকালের জলখাবারের জন্য রুটি ,ডাল বা পুরী ও সব্জী পেয়ে যাবেন অনায়াসেই। তাই বলা যায় যে,হরিদ্বারে এসে খাওয়া ও থাকার কোন অসুবিধায় আপনি পড়বেন না।
হরিদ্বারে গঙ্গার পাড় ধরে বাঁধানো ঘাট ও সুগন্ধি ধূপ ও ধুনোর গন্ধ আর স্বচ্ছ গঙ্গাজলের কলকল শব্দ আপনাকে যেন নৈসর্গিক শান্তি এনে দেবে। মা গঙ্গাকে নিয়েই হরিদ্বারের মূল আকর্ষণ। সাদা ও রঙ্গিন আলোয় সুসজ্জিত গঙ্গার পাড় সন্ধ্যা থেকে রাত মা গঙ্গাকে মায়াবী করে তোলে।
হরিদ্বারে পাঁচটি ঘাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘাটটি হল হর কি পৌরী ঘাট। বাবা মহাদেবের মন্দির সম্মুখস্থ এই ঘাটটির মাহাত্ম অনেক। হর কথার অর্থ ভগবান শিব। কি এর অর্থ এর। আর পৌরি এর অর্থ পাওরী অর্থাৎ পা তথা পদ। হর কি পাওরি অর্থাৎ ভগবান শিবের পাদপদ্ম।
কথিত আছে বৈদিক যুগে ভগবান শিব ও বিষ্ণুদেব এখানে আসেন হর কি পাওরির ব্রহ্মকুণ্ডে। এটি হল সেই জায়গা যেখানে মা গঙ্গা তার পাহাড়ী পথ পার হয়ে সমতলে প্রবেশ করেছেন। এটি হল সেই জায়গা যেখানে প্রতি বার বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভমেলা হয় আর প্রতি ছয় বছর অন্তর হয় অর্ধ কুম্ভমেলা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই পবিত্র সময়ে পুণ্যস্নান করে পাপমুক্ত হন।
হর কি পাওরির পাশাপাশি এখানে রয়েছে গনেশ ঘাট। হনূমান মন্দিরের সন্নিকটে এই ঘাট। পিকনিক করবার পক্ষে এই ঘাটের অঞ্চলটি একটি আদর্শ জায়গা।
হরিদ্বার। উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশের বর্তমান উত্তরাখণ্ডের একটি প্রসিদ্ধ স্থান এই হরিদ্বার। ছোটোখাটো শহর। জনবসতি প্রায় ২.৫ লক্ষ। আয়তন প্রায় ২৩৬০ বর্গ কিমি। এই ছোট্ট এলাকায় সারা বছর বহু মানুষের ভীড় লেগে থাকে। বহু প্রদেশ ও দেশ থেকে এখানে বেড়াতে আসেন।
কিভাবে যাবেন :
কলকাতা তথা হাওড়া থেকে কুম্ভ এক্সপ্রেস অথবা দুন এক্সপ্রেস এ এক ট্রেনে পৌঁছে যাবেন হরিদ্বার। কিংবা দিল্লী থেকে দেরাদুন গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে বসলেই আপনি অনায়াসেই পোঁছে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যের ঠিকানায়।
আপনি বাসেও যেতে পারেন দিল্লী থেকে সরাসরি। এছাড়া দিল্লী থেকে চার জনের বা ছয় /সাত জনের জন্য গাড়ি ভাড়ায় পেতে পারেন। যদি আপনার সামর্থ্যে কুলায় তাহলে এরোপ্লেনে ও আপনি যেতে পারেন,দেরাদুন বিমান বন্দরে আপনাকে নামতে হবে।
কখন যাবেন :
হরিদ্বারে আপনি সারা বছর যেতে পারেন। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর বহু পর্যটকের ভীড় থাকে। তাই ওই সময় গেলে আনন্দও পাবেন অনেক বেশি।
কোথায় উঠবেন :
স্টেশনের অদূরেই রয়েছে হোটেল। একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন আপনার বাজেট অনুযায়ী। এছাড়া স্টেশন থেকে মাত্র মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পাবেন ভারত সেবাশ্রম। আর মা গঙ্গার ঘাটের গা ঘেঁষে রয়েছে প্রচুর হোটেল। অল্প ,মাঝারি ও বাজেট হোটেলের ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে একাধিক ধর্মশালা। অর্থাৎ আপনি আপনার পছন্দসই বাজেট অনুসারে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
খাওয়া দাওয়া :
হরিদ্বারে আপনি নিরামিষ খাবার পাবেন বেশিরভাগ হোটেলে। দেরাদুন চালের ভাত ,সবজি, ডাল,চাটনি, পাঁপড় ,আচার ,পায়েস ও পকোড়া সহ পুরো থালি পাবেন ৫০থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ডাল ,রুটি ,সব্জী,আচার ইত্যাদির থালিও পাবেন অল্প খরচেই। মাছ বা মাংসের হোটেল ও আছে ,তবে তুলনায় কম। সাউথ ইন্ডিয়ান ,চাইনিজ ইত্যাদির ডিশ ও পেয়ে যাবেন নিকটেই। সকালের জলখাবারের জন্য রুটি ,ডাল বা পুরী ও সব্জী পেয়ে যাবেন অনায়াসেই। তাই বলা যায় যে,হরিদ্বারে এসে খাওয়া ও থাকার কোন অসুবিধায় আপনি পড়বেন না।
কি দেখবেন ও কোথায় যাবেন :
হরিদ্বারে গঙ্গার পাড় ধরে বাঁধানো ঘাট ও সুগন্ধি ধূপ ও ধুনোর গন্ধ আর স্বচ্ছ গঙ্গাজলের কলকল শব্দ আপনাকে যেন নৈসর্গিক শান্তি এনে দেবে। মা গঙ্গাকে নিয়েই হরিদ্বারের মূল আকর্ষণ। সাদা ও রঙ্গিন আলোয় সুসজ্জিত গঙ্গার পাড় সন্ধ্যা থেকে রাত মা গঙ্গাকে মায়াবী করে তোলে।
হরিদ্বারে পাঁচটি ঘাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘাটটি হল হর কি পৌরী ঘাট। বাবা মহাদেবের মন্দির সম্মুখস্থ এই ঘাটটির মাহাত্ম অনেক। হর কথার অর্থ ভগবান শিব। কি এর অর্থ এর। আর পৌরি এর অর্থ পাওরী অর্থাৎ পা তথা পদ। হর কি পাওরি অর্থাৎ ভগবান শিবের পাদপদ্ম।
কথিত আছে বৈদিক যুগে ভগবান শিব ও বিষ্ণুদেব এখানে আসেন হর কি পাওরির ব্রহ্মকুণ্ডে। এটি হল সেই জায়গা যেখানে মা গঙ্গা তার পাহাড়ী পথ পার হয়ে সমতলে প্রবেশ করেছেন। এটি হল সেই জায়গা যেখানে প্রতি বার বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভমেলা হয় আর প্রতি ছয় বছর অন্তর হয় অর্ধ কুম্ভমেলা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই পবিত্র সময়ে পুণ্যস্নান করে পাপমুক্ত হন।
হর কি পাওরির পাশাপাশি এখানে রয়েছে গনেশ ঘাট। হনূমান মন্দিরের সন্নিকটে এই ঘাট। পিকনিক করবার পক্ষে এই ঘাটের অঞ্চলটি একটি আদর্শ জায়গা।
একদিকে চন্ডিমাতার মন্দির ও অপরদিকে মনসামাতার মন্দির ও পাহাড়ের সৌন্দর্য ফটোপ্রেমীদের মন কাড়বে। এছাড়া বিড়লা ঘাট ,গৌ ঘাট ,বিষ্ণু ঘাট ও কুশবর্ত ঘাট যথেষ্ট্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। কথিত আছে, ঋষি দত্তাত্রেয় হাজার বছর আগে এই কুশবর্ত ঘাটে পা রাখেন।
হরিদ্বারে আসবেন আর গঙ্গার ঘাট ধরে ভোরে ও সন্ধ্যায় আরতি দর্শন করবেন না তা কি হয় ! সুসজ্জিত আলোকসজ্জায় পবিত্র গঙ্গার কলকল ধ্বনিতে ১০৮ টি ঝাড়বাতির আরতি ও মা গঙ্গাদেবীর স্তোত্রপাঠ,ধূপ-ধূনা মিশ্রিত সুগন্ধ আপনার মনকে শান্ত ও পবিত্র ভাবনায় ভরে দেবে। সারি সারি দর্শনার্থীর ভিড়ে ও হুলুধ্বনিতে পুরো গঙ্গাপাড়কে অদ্ভুত মায়াবী পরিবেশ দেয়।
ভোরবেলায় একদিকে আরতি দর্শন আর স্নিগ্ধ শীতল জলে স্নান সমস্ত পাপ ক্ষয় করে দেবে। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস আছে যে,এইখানে এক ডুবে আপনি যে পাথরটি তুলবেন ,হয়ত তার মধ্যে মিলতে পারে নারায়ণ শিলাও।বরফগলা ঠান্ডা জলে ডুব দেবার পর পূর্ব-পুরুষের প্রতি স্মরণ ও তাঁদের আত্মার এবং সর্বোপরি সংসারের মঙ্গল কামনায় প্রদীপ ভাসিয়ে মা গঙ্গার পুজো দেবেন।
হরিদ্বারে গ্রহরত্নের দোকান পাবেন প্রচুর। আপনাকে দেখে শুনে কিনতে হবে। এখানে আপনি রুদ্রাক্ষ পাবেন একমুখী থেকে শুরু করে একাধিক ধরনের রুদ্রাক্ষ। আপনার বাজেট অনুযায়ী সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তবে একটু দেখেশুনে পরখ করে নিতে হবে।
উত্তর ভারতের এই বিখ্যাত জায়গাটিতে আপনি একটিবার এলেই বারে বারে আসতে ইচ্ছে করবে।দেবদর্শনের প্রবেশ পথ হরিদ্বার আপনার সেবায় অপেক্ষারত।
Comments
Post a Comment
Thank you for your comments.