Skip to main content

New Freelance Job Site for Low Competition High Chance

  New Freelance Job Site for Low Competition High Chance Finding a new freelance job site with low competition and a high chance of landing gigs can be challenging, as the landscape is constantly evolving. However, here are some platforms that were gaining popularity in the freelance world as of my last knowledge update in September 2021. Keep in mind that the competitive landscape may have changed since then, so it's essential to do your research and stay updated on the latest trends in the freelance job market for 2024. Solid Gigs:  Solid Gigs is a subscription-based service that curates freelance job listings and sends them directly to your inbox. It's designed to save you time by providing quality leads, potentially reducing competition compared to open job boards. We Work Remotely:  While not entirely new, this platform focuses on remote work opportunities. Competition may be lower for specialized skills in industries such as tech, design, and marketing. Craigslist (speci

TIRUPATI DARSHAN-1st Part

                                              


                                               তিরুপতি দর্শন-প্রথম পর্ব 

প্রতি বছর পুজোর ছুটিতে কোথাও একটা যাওয়া চাই। প্রত্যেক বছরই ঠিক হয়ে যায় পরের বছর কোথায় যাওয়া হবে। সেই হিসাবে গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ তেই  ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে, আসছে  বছর তিরুপতি দর্শনে যাবো।সেইমতো সময়ের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে কিভাবে যাওয়া যায় ,কোথায় উঠবো ,কতদিন লাগবে ,কি কি দেখার জিনিস আছে...ইত্যাদি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম।

                                                                                 
TIRUPATI DARSHAN-1st Part



  তিরুপতি। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তর জেলার পূর্বঘাট পর্বতমালার শেষভাগে তিরুমালা পর্বতের উপর তিরুপতি বালাজী মন্দির।

মূলত এই মন্দিরের নাম ভেঙ্কটেশ্বরঃ স্বামী মন্দির। নেটদুনিয়াতে একটু খোঁজ খবর নিয়ে বুঝলাম -ভারত তথা বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী মন্দির হল এই মন্দির।এখানে দর্শন করতে হলে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়।    

প্রস্তুতিপর্ব :

আমাদের মন্দির দর্শনের দিন স্থির হল ২৭শে অক্টোবর ২০১৮। তাই জুলাই মাসে ট্রেনের টিকিট কাটা হল।সাঁতরাগাছি থেকে ম্যাকবিবেক ট্রেন। ২৫শে অক্টোবর বিকাল ৩তা ৫০মিঃ এ। দর্শনের জন্য 'শীঘ্র দর্শন'-'র টিকিট কাটলাম নেট থেকে।


শীঘ্র দর্শনের টিকিট :


 TTD অর্থাৎ তিরুপতি তিরুমালা দর্শন।TTD সাইট থেকে যাত্রী প্রতি ৩০০টাকা দিয়ে অনলাইন এ টিকিট কাটলাম। প্রতি টিকিটে দুইটি করে লাডডু ফ্রি। আমরা তিনটি পরিবারের এগারো জনের জন্য এগারোটা টিকিট নিলাম।তিরুপতি দর্শনের টিকিট ৯০ দিন আগে থেকে দেওয়া হয়। একমাসের স্পেশাল দর্শনের টিকিট এক সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়।

কেউ যদি প্লেন এ যেতে চান তিরুপতি যাবার বিমান ধরতে পারেন। যাইহোক দিল্লী ,মুম্বাই ,বা কলকাতা সব জায়গা থেকেই ট্রেন আছে। তবে যে ট্রেন টি সরাসরি তিরুপতি যাচ্ছে সেটাই ধরলে ভালো। 

থাকার জায়গা :

তিরুপতি স্টেশন এর সামনেই অনেক হোটেল পাবেন। আগে থেকে বুক করে যেতে পারেন। মাঝারি থেকে ভালো সব ধরনের হোটেল পাবেন। 

যাইহোক আমরা যথা সময়ে ট্রেন ধরলাম নির্দিষ্ট দিনে। ম্যাকবিবেক ট্রেন টিতে প্রচুর ভিড় হয়।তাই আগে থেকেই একটু সতর্ক ছিলাম। ব্যাগ ও জিনিসপত্র নির্দিষ্ট জায়গাতে রেখে সকলে যে যার আসন নিয়ে নিলাম। কিন্তু ট্রেন ভুবনেশ্বর যাওয়ার পর ওয়েটিং এর যাত্রীরা সারাটা ট্রেনের মেঝেতেই কেউ বসে পড়ল কেউবা পেপার পেতে বিছানা করে শুয়ে পড়ল। মাঝ রাতে টয়লেট যেতে হলে টপকে যেতে হল।

.



হোটেল থেকে দর্শনে : 

 আমাদের ট্রেন সরাসরি তিরুপতি পৌঁছাল ২৬শে অক্টোবর। সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। বুকিং না থাকার ফলে ঘন্টা খানেক লাগল হোটেল পেতে। একটুখানি ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম নিকটবর্তী বাজারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর টি ঘুরে দেখলাম। 


 সাউথ ইন্ডিয়ান ডিশ থালি  হিসাবে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এদের হাতে তৈরি ইডলি ,ধোসা  বেশ ভালো লাগল।হোটেলের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের গাড়ির মধ্যে একটা সুমো গাড়ি ঠিক করা হল  পরদিন সকাল ৬টায় রওনা দেবে। সারাদিনের প্রোগ্রাম। হোটেল থেকে নিয়ে গিয়ে মন্দির দর্শন করিয়ে অন্যান্য পার্শ্ববর্তী কিছু মন্দির ঘুরে নিয়ে এসে আবার হোটেলে পৌঁছে দেবে।খরচ মাথা পিছু ৩০০ টাকা।

এখানে বলে রাখা ভালো যে যারা এতো খরচ না করতে চান তারা স্টেশন এর অদূরেই আছে বাস স্ট্যান্ড। বাসে যেতে পারেন। তাতে খরচ কম হবে। শ্রীনিবাসন ট্রাস্টের মাধ্যমে যেতে পারেন মাত্র ৫৫ টাকা মাথা পিছু খরচে ।

স্টেশন থেকে ২২কিমি হলেও সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। পাহাড়ি রাস্তার কারণে যাতে কারো বমি না হয় তার জন্য ঔষধ নিয়ে নিলাম।

পথে ডিয়ার পার্ক যাবার সময়ে একটু দেখে নিতে পারেন। আটটায় আমাদের গাড়ি পৌছালো। আমাদের দর্শনের সময় ছিল সকাল দশটায়। কাজেই তার আগে ছেলেরা ধুতি -পাঞ্জাবি ও মেয়েরা চুড়িদার ওড়না কিনে নিলাম। মন্দিরের সামনে বড় বড় হোটেল ,কম খরচে থাকার জন্য ধর্মশালা ও আছে। TTD সাইট থেকে কম খরচে থাকার জন্য টিকিট বুক করা যায়। দেরি করে ফেলবার জন্য আমরা ACOMODATION বুক করতে পারিনি।  ওটাও অগ্রিম কাটতে হত।  

দর্শন : 


 ১০টায় প্রবেশ করলাম। ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল ইত্যাদি জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। প্রথমেই বিনা খরচে কফি খেতে দেওয়া হল। কেউ চাইলে দুধ খেতে পারে। যাইহোক চেকিং এর পর ,আই ডি দেখিয়ে ঢুকতে হয়েছিল। দলে দলে গো গো গোবিন্দ কীৰ্তন করতে করতে কখন যে বিগ্রহের সামনে পৌঁছে গেলাম বুঝতে পারিনি। তবে বালাজীর কৃপায় পায়ের ব্যথা অনুভব করিনি। 

অবশেষে সেই সন্ধ্যিক্ষন উপস্থিত। বালাজি ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর দর্শন করলাম। এক পরম  আনন্দে ও শান্তিতে চিত্ত মুগ্ধ হইল। 

লাড্ডূ গ্রহণ :


  মন্দির থেকে বেরিয়ে একটু বিভিন্ন চত্বর ঘুরে ঘুরে মন্দিরের কারুকার্য দেখলাম। স্বর্ণ ও রৌপ্য খচিত বিভিন্ন মূর্তি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখলাম হুন্ডি ঘর। যেখানে মূল্যবান রত্না, স্বর্ণ ইত্যাদি দান করা হয়েছে। এগুলো দেখে বেরিয়ে টিকিট দেখিয়ে লাড্ডুগ্রহনের লাইনে  দাঁড়ালাম। কুপন সংগ্রহ করে লাড্ডু নিলাম। 


অন্নপ্রাসাদম :


অন্নপূর্ণার অন্নপ্রসাদ পাওয়ার জন্য একটু এগিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম। বিশাল হল ঘরে  একসাথে ৫০০০জন প্রসাদ খেল যাত্রীগণ। না কোন খরচ লাগে নি। পেট ভরে পদ্ম পাতার থালায় প্রাসাদ খেয়ে তৃপ্ত হলাম। 

প্রায় ২২বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে বিশাল মন্দির চত্বর। হাজার হাজার ভক্তের সমাগম। প্রচুর স্বেচ্ছা সেবক। শুধু ভারতবাসী কেন বহু বিদেশী ও এখানে আসেন। তবে সকলের জন্য এক নিয়ম। 

যাদের মনোবাসনা পূর্ণ হয় তারা এখানে মাথার চুল ফেলেন। নারী -পুরুষ নির্বিশেষে নেড়া হন।  সমস্ত মন্দির চত্বর একবারে ঘুরে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই আবার আস্তে হবে এখানে। 

তিরুপতি বালাজি মন্দির ছাড়াও আরো অনেক মন্দির রয়েছে। মন্দির থেকে বেরিয়ে কিছু কেনাকাটার পর ড্রাইভারের দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করলাম -দোকানদারের কাছ থেকে ফোন নিয়ে। ঘড়িতে এখন বিকাল চারটা। ড্রাইভার আসতেই রওনা দিলাম পরবর্তী পাপনাসম ,আকাশগঙ্গা,বেণুগোপাল মন্দির ,ও পদ্মাবতীর মন্দিরের উদ্দেশ্যে। 


                                                                                                       (ক্রমশ )

Comments

Popular posts from this blog

12 Ways How To Start Freelance Writing to make money easy

12 Ways How To Start Freelance Writing to make money easy The demand for freelance writing jobs is increasing day by day. However, there are several ways you can earn money easily by freelance writing. There are a few things you need to pay special attention to. Here are 12 important things to keep in mind as a freelance writer. Come on, it will be useful for you. 1. Blogging 2. Regular bidding by accounting in various freelancing companies 3. Composing beautiful gigs 4. Marketing on a content writing platform 5. Post to different communities 6. Post articles in different media 6. Increase your acquaintance 6. Write content regularly 9. Improve writing skills 10. Give new information in writing 11. Keep the bidding price low 12. Build relationships between writers and readers Conclusion 1. Blogging: Blogging is a platform where you can take your writing skills to a higher level. If you want to choose writing as a career , if you want to be a freelance writer, blogging is the platform

Uchcha madhyamiker pore fire and safety management course

                    উচ্চ মাধ্যমিকের পরে  FIRE AND SAFETY        ম্যানেজমেন্ট কোর্স  ছোটবেলা থেকে তিল তিল করে যত্ন করে রাখা স্বপ্নটাকে প্রায় সতেরো- আঠেরো বছর লালন পালন করার পর আজ বাস্তবে রূপ দেবার দোরগোড়ায় পৌঁছানো গেল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের হাত ধরে। বর্তমানে এই ব্যস্ত পৃথিবীতে সকলেই দৌড়োচ্ছে। এই দৌড় প্রতিযোগিতাটা কেবল আজকের দিনেই বেশি চলছে তা কিন্তু নয়। বাজারে চাকুরী বা কর্মসংস্থান সে যাই হোক না কেন চাহিদার তুলনায় জোগান সবসময় কম।  আবার বিনোদনের পদ্ধতিটা বর্তমান সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর  এতটাই প্রভাব ফেলে যে তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে ব্যর্থ  হয়।  তাই আজকের দিনে যদি জীবনে সাফল্যলাভ করতে হয় তবে লক্ষ্য স্থির রেখে সঠিক ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ইতিমধ্যেই তাদের লক্ষ্য স্থির রেখে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রয়োজনীয় নম্বর তুলে নিতে পেরেছো , তারা তো এগিয়ে যেতে পারছোই ,কিন্তু যারা কাঙ্ক্ষিত নম্বর তুলে নিতে পারনি তারা তাই বলে হতাশ হয়ে বসে থেকো না। আজ এই পোস্টে উচ্চ মাধ্যমিকের পর যে  কোর্স টি  করলে ভবিষ্যতে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবে তার কিছু খোঁজখবর দেওয়ার চেষ্ট

CHALO JAI GANGTOK

চলো যাই গ্যাংটক- পর্ব -১  ছোটবেলার সেই দিন গুলির কথা মনে পড়ে বারে বারে।সেদিনের ক্লাসে বাংলা শিক্ষকের দার্জিলিং ও গ্যাংটক যাওয়ার বর্ণনা আজও আমায় স্বপ্নের জগতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।নীল আকাশের গায়ে সাদা পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেসে বেড়ানোর গল্প ,মাঝে মাঝে ধোঁয়ার মতো মেঘ- ঘরের মাঝে ঢুকে যাওয়ার গল্প,আমায় যে কোন জগতে নিয়ে যেত-তা আমি ভাষায় বলতে পারি নে।  মেঘের দেশে সেই তখন থেকেই স্বপ্ন দেখেছি। বড়ো হয়ে একটি বারের জন্য মেঘ ছুঁয়ে আসবো।আর সে ইচ্ছেটা পূরণ হইতেই সেটা খানিক কইতে না পারলে বোধকরি আয়েশ মেটে না ।যাইহোক, নেট দুনিয়ার দৌলতে একটুখানি অভিজ্ঞতা সঞ্চয়পূর্ব্বক, পাড়ি দিলুম গ্যাংটক যাত্রা উদ্দেশ্যে -সোজাসুজি হাওড়া স্টেশনে।সংরক্ষিত কামরার টিকিট অবশ্যি আগেভাগেই কাটা ছিল।  দিনটা ছিল ৩রা অক্টোবর ২০১৮। শীতটা তখনো পড়েনি। বেশ গরম গরম-ই বটে। হাওড়া স্টেশন। দক্ষিণ -পূর্ব রেলের এই বর্ণময় স্টেশনটি যেন সারা ভারতবাসীর এক মিলনক্ষেত্র। স্টেশনে পৌঁছনোর সাথে সাথে মনটা যেন এক অনাবিল আনন্দে ভরে গেল।মনটা যেন ছটপট করছিল কখন চেপে বসব গন্তব্যের ট্রেনে।ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ডের দিকে তাকাতে তাকাতে যখন হাওড়া স্টেশন